সাইপ্রাসে গোপনে জমি কিনছেন ইসরাইলিরা

সাইপ্রাসে গোপনে জমি কিনছেন ইসরাইলিরা

সম্প্রতি সাইপ্রাসে গোপনে জমি ও সম্পত্তি কিনছেন বহু ইসরায়েলি নাগরিক ও ব্যবসায়ী। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে দেশটির নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনৈতিক অঙ্গনে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ভূমি ক্রয়ের পেছনে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত উদ্দেশ্য।

📍 কি ঘটছে ঠিক?
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবং গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানায়, দক্ষিণ সাইপ্রাসে, বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে উল্লেখযোগ্য হারে জমি ও রিয়েল এস্টেট কিনছেন ইসরায়েলিরা। অনেক ক্ষেত্রে এসব লেনদেন স্থানীয় এজেন্ট বা নকল কোম্পানির মাধ্যমে করা হচ্ছে, যাতে প্রকৃত ক্রেতার পরিচয় গোপন থাকে।

🔍 কেন সাইপ্রাস?
সাইপ্রাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ায় এবং ভৌগোলিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যের খুব কাছাকাছি অবস্থান করায় এটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি দেশটির ট্যাক্স নীতিমালা, বিনিয়োগের সুযোগ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করে। ইসরায়েলি ক্রেতারা সম্ভবত এই সুযোগকে ব্যবহার করে আঞ্চলিক উপস্থিতি বাড়াতে চাইছেন।

🚨 নিরাপত্তা উদ্বেগ
সাইপ্রাসের প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা মহলে এই প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই জমি ক্রয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যতে নজরদারি, প্রভাব বিস্তার বা এমনকি সাইপ্রাসের ভেতরে কৌশলগত কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা থাকতে পারে।

🎙️ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
সাইপ্রাসের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানান, “বিদেশি নাগরিকদের জমি ক্রয় নিয়ে আমরা সতর্কতা অবলম্বন করছি। যারা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে, তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।”

🌐 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
এই খবর সামনে আসার পর ইউরোপের কয়েকটি দেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইপ্রাসের ঘটনা ইউরোপে ‘নরম দখল’ নীতির একটি নতুন দৃষ্টান্ত হতে পারে।

Scroll to Top