আফগানিস্তান সঙ্কট: এই দেশে দশকের পর দশক কেন যুদ্ধ চলছে?

আফগানিস্তানে যুদ্ধ চলছে ৪০ বছর ধরে। বেশিরভাগ আফগানই মনে করতে পারে না তাদের দেশে কবে শান্তি ছিল।

যে তালেবানকে ২০০১ সালে যুদ্ধের মাধ্যমে আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছিল, যাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ বছর ধরে যুদ্ধ চলেছে, সেই তালেবানের সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্র আবার সন্ধি করেছে। আর সেই পটভূমিতেই আফগানিস্তান থেকে বিদেশী সৈন্য প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

আফগানিস্তানের এই যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের জীবন গেছে, লাখ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করা চুক্তিতে তালেবান অবশ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা আফগানিস্তানকে আর এমন কোন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর ঘাঁটি হতে দেবে না, যারা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে।

কিন্তু চুক্তির পর আফগানিস্তান থেকে বিদেশী সৈন্যরা বিদায় নেয়া শুরু করার পর থেকেই তালেবান খুব দ্রুত আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে বিভিন্ন এলাকা দখল করা শুরু করে। অন্যদিকে আফগান সেনাবাহিনীকে এখন কাবুলে এক নাজুক সরকারকে রক্ষায় ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।

তালেবান আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তারা একটি জাতীয় শান্তি আলোচনায় অংশ নেবে। কিন্তু অনেকের আশংকা, আফগানিস্তানে শান্তি দূরে থাক, দেশটি বরং এখন একটা চরম গৃহযুদ্ধের দিকেই যাচ্ছে।

কিন্তু তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্যদের পুরোপুরি প্রত্যাহারের জন্য একটা প্রতীকী তারিখ নির্ধারণ করে ফেলেছেন- সেটি হচ্ছে ১১ই সেপ্টেম্বর, ঠিক যে দিনটিতে বিশ বছর আগে আল কায়েদা যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল।

জো বাইডেন হচ্ছেন চতুর্থ মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যাকে আফগানিস্তানে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হয়েছে, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলা যুদ্ধ। এই যুদ্ধের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র হাজার হাজার কোটি ডলার খরচ করেছে।

Scroll to Top