আপত্তিকর দৃশ্য ও সংলাপের কারণে গত জুনে ‘সাহস’ সিনেমাটিকে প্রদর্শনের অযোগ্য ঘোষণা করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। সেই সময় সেন্সর বোর্ড আপত্তিকর দৃশ্য ও সংলাপ এবং সহিংস দৃশ্যগুলো সংশোধন করে পুনরায় আপিল করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেয়। কিন্তু প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে বিলম্বে আপিল করায় সেন্সর বোর্ড সম্প্রতি আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে। সেন্সর বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্দেশনা মেনে আবারও সেন্সরে জমা দেওয়ার সুযোগ এখনো ছবিটির রয়েছে।
সিনেমাটির নির্মাতা সাজ্জাদ খান বলেন, ‘অনেকেই মনে করছেন, সিনেমাটা আমরা আর জমা দিতে পারব না। এটি সব সময়ের জন্য নিষিদ্ধ থাকবে। মূল ঘটনা তা নয়। আমার সিনেমা সেন্সরে জমা দেওয়ার পরে তারা কিছু দৃশ্য ও সংলাপ নিয়ে আপত্তি করে। সে জন্য আমরা বিভিন্ন অংশ ফেলে নতুন করে আবার জমা দিই। আপিল করতে আমাদের কিছুটা দেরি হয়ে যায়। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, এখন নতুন করে আবার জমা দেব।’
সাজ্জাদ আরও বলেন, ‘চরিত্রগুলোকে প্রাধান্য দিয়েই আমাদের গল্প সাজানো। যেমন একটি চরিত্র আছে ধর্ষক। যৌক্তিক কারণে তার ভাষায় কিছু অশালীন সংলাপ রাখা হয়েছিল, যেটা গল্পের সঙ্গে যায়। এমন বেশ কিছু দৃশ্য ও সহিংসতা নতুন করে সম্পাদনা করা হয়েছে। এমন ছোট অনেক পরিবর্তন করে সিনেমাটি সেন্সরে যাবে। আশা করছি আর সমস্যা থাকবে না।’
‘সিনেমাটি আমরা দেখেছিলাম। তখন প্রদর্শনের উপযোগী না হওয়ায় কিছু সংশোধনী দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ে তারা আবেদন করেনি। এখন সংযোজন–বিয়োজন করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চাইলে নতুন করে আবার জমা দিতে পারবে। এটাকে একেবারে ব্যান করা হয়নি।’
সেন্সর বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট জসীম উদ্দীন
সিনেমাটিতে কটি দৃশ্যের জন্য নোটিশ পেয়েছিলেন, এমন প্রশ্নে নির্মাতা সাজ্জাদ বলেন, ‘চার-পাঁচটি। দৃশ্যগুলো যেহেতু আর দর্শক দেখতে পাবেন না, এটা নিয়ে তাই আমরা আর কিছুই বলতে চাই না। প্রথম দিকে আমরা কাজ করতে গিয়ে হয়তো অনেক কিছুই বুঝতে পারিনি। নতুন করে সিনেমাটি যেভাবে যাবে, তাতে সমস্যা থাকবে না। সেন্সর বোর্ড ভালোর জন্যই কাজ করে যাচ্ছে। তারা কখনোই কোনো সিনেমা ব্যান করে না। আমরা আশা করছি, “সাহস” নিয়ে এবার সুদৃষ্টি পাব।’
তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে সিনেমাটি বিষয়ে বলা হয়েছিল, ‘দ্য সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট, ১৯৬৩ (সংশোধনী, ২০০৬)-এর ৪বি (১) ধারা লঙ্ঘন করে আপিল আবেদন দাখিল করায় নাকচ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সারা দেশে ছবির প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
সেন্সর বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট জসীম উদ্দীন বলেন, ‘সিনেমাটি আমরা দেখেছিলাম। তখন প্রদর্শনের উপযোগী না হওয়ায় কিছু সংশোধনী দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ে তারা আবেদন করেনি। এখন সংযোজন–বিয়োজন করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চাইলে নতুন করে আবার জমা দিতে পারবে। এটাকে একেবারে ব্যান করা হয়নি।’
সিনেমায় অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, নাজিয়া হক অর্ষাসহ থিয়েটার রেপার্টরির ৩০ জনের বেশি তরুণ অভিনয়শিল্পী।
সূত্র প্রথম আলো