নিজস্ব প্রতিবেদন: আদালতের হস্তক্ষেপেও জট কাটল না আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। আন্দোলন প্রত্যাহার করতে রাজি হলেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। ২৯ অক্টোবর, সকাল ১১টা স্বাস্থ্যসচিবকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি ২ নভেম্বর।
অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার ‘কর্মবিরতি’। পুজোর সময় থেকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পরিস্থিতি এমনই যে, সরকারি হাসপাতালে এসে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে গিয়েছেন বহু রোগী। শেষপর্যন্ত কর্তৃপক্ষের আবেদনে সাড়া দিয়ে কাজে যোগ দেন হাউস স্টাফরা। আন্দোলন থেকে সরে দাড়িয়েছেন বেশিরভাগ পিজিটিও। এমনকী, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে কাজে ফিরতে চেয়েছেন ইন্টার্নরাও।
এদিকে আবার আরজি করে অচলাবস্থা কাটাতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টে। মামলাকারী নন্দলাল তিওয়ারির আর্জি, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার চালু করতে হস্তক্ষেপ করুক আদালত। এদিন মামলার শুনানি হয় বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিতে আন্দোলনকারীদের চার প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠিয়ে আন্দোলন তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন দুই বিচারপতি। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। এরপর স্বাস্থ্যসচিবকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।