ইসরায়েলি গোয়েন্দা তৎপরতা ইউরোপজুড়ে : সতর্ক ইউরোপ

ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের তৎপরতা শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই নয়, সম্প্রতি ইউরোপজুড়ে তাদের গোপন অভিযান ও নজরদারির চিত্র প্রকাশ পাচ্ছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়া রিপোর্টে উঠে এসেছে, ইসরায়েল বর্তমানে ইউরোপীয় ভূখণ্ডে তাদের কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে।
ইরানি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংগঠনের ওপর নজরদারি চালানোর অভিযোগ উঠেছে মোসাদের বিরুদ্ধে। জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা সম্প্রতি একাধিক ঘটনায় ইসরায়েলি হস্তক্ষেপের প্রমাণ পেয়েছে বলে জানায়।


সাইপ্রাসে “ভূমি ক্রয়” এর মাধ্যমে নজরদারি অবকাঠামো তৈরি করছে ইসরায়েলিরা—এমন অভিযোগ বেশ গুরুতর হয়ে উঠছে। এটি শুধু অর্থনৈতিক নয়, বরং কৌশলগত নিরাপত্তার বিষয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের সুযোগে ইউরোপে অস্ত্র চোরাচালান, সাইবার হামলা ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারে ইসরায়েলি গোয়েন্দা তৎপরতা দেখা গেছে বলে পশ্চিমা গোয়েন্দারা দাবি করছে।

🌐 কেন ইউরোপ?
ইরান, হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা অনেক সময় ইউরোপে আশ্রয় নেন। তাদের অবস্থান শনাক্ত, প্রভাব বিস্তার ও গুপ্তচর নেটওয়ার্ক গঠনের জন্য ইউরোপ একটি উপযুক্ত ক্ষেত্র বলে মনে করে মোসাদ।

🧠 সাইবার গোয়েন্দাগিরি ও তথ্য সংগ্রহ:
ইসরায়েলি গোয়েন্দারা এখন আর শুধু মাঠে নয়, বরং ইউরোপজুড়ে সাইবার হামলার মাধ্যমেও তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইট, এনজিও অফিস ও কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানে সন্দেহজনক প্রবেশের ঘটনা তদন্তাধীন।


রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফ্রেডরিক জ্যাকবস বলেন, “ইসরায়েলের এই তৎপরতা শুধু নিরাপত্তার প্রশ্ন নয়—এটি ইউরোপের সার্বভৌমত্বের ওপরও প্রভাব ফেলছে।”


ইতোমধ্যে বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা তথ্য আদান-প্রদানে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে। পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

Scroll to Top